আমি ভাবতেও পারি নায় নিশি আমাকে
এমন একটা গিফ্ট, এই তাহলে তোমার
গিফ্ট,আসলে এটায় হয়তো আমার জিবনের
শ্রেষ্ঠ গিফ্ট।।।।
আমি কখনও নিশির কাছ থেকে কিস আশা
করি নায়, তবু পেয়ে গেলাম, এ যেন মেঘ না
চাইতেই বৃষ্টি।
--স্যার কেমন লাগল ( নিশি)
আমি কোনো কথা না বলে আজকের মত
প্রাইভেট শেষ করে আসার সময় নিশিকে
বলে আসলাম বিকালে তুমাকে এক
জায়গায় নিয়ে যাবও রেডি হয়ে থাকবে।
নিশি একটা হাসি দিয়ে হ্যা বলে দিল,
তারপর আমি ওর রুম থেকে চলে আসি।।।
বিকালে একসাথে বের হয়লাম। নিশিকে
আজকে অনেক সুন্দর লাগছে। তারপর একটা
রিকশা ডেকে ওঠলাম,
-- কোথায় যাচ্ছি আমরা ( নিশি)
-- ওখানে গেলেই বুঝতে পারবে ( আমি)
-- মামা চলে এসেছি, নামেন
( রিকশাওয়ালা)
আমি ভারাটা দিয়ে নিশিকে নিয়ে
ভেতরে গেলাম, সেখানে গিয়ে আশ্রমের
ছেলে ছেলেগুলোকে কয়েকটা চকলেট
দিয়ে বিদায় করলাম। আমি ওদের কষ্ট বুঝি
কারন আমি এখানেরই সন্তান।।।
-- এইখানে নিয়ে আসলে কেন ( নিশি)
দেখ, আমি এখান থেকে বড় হয়েছি, কখনও
তিনবেলা খাবার পাই নায়,আমার মা
বাবা কে আমি জানি না, আমার বংশ কি
এটাও আমি জানি না, আমি কোন ধর্মের
এটাও জানতাম না যদি এখানের
কেয়ারটেকার রহিম চাচা না বলতেন।।।
-- চলও ( আমি)
নিশি কোনো কথা না বলে আমার সাথে
রিকশায় ওঠে আসল।।
-- শিশু পার্কে কেন ( নিশি)
এই খানের ছেলেগুলোকে দেখ, এদের
পিতৃপরিচয় কি জানও এরা শহরের নাম করা
ধনিদের ছেলে, এরা এরা খাবার খায় না
( আমি খাবার পায়তাম না), তাছাড়া
রয়েছে এদের জাত, ধর্ম।।
দেখ নিশি আমার অবস্থান কোথায় আর
তোমার অবস্থান কোথায়।।।
-- আমার সাথে তুমার যায় না ( আমি)
এই কথা বলে দু জনেই নিঃশব্দে বাসায়
চলে আশি।।।।
আসলে আমি নিশির প্রতি অনেকটায় দূর্বল
হয়ে গেছি।।।।
রাতে অংক করার জন্য খাতাটা খুলেই
দেখি একটা চিরকুট।।
তুমি রাত ১০ টায় ছাদে চলে আসবে। যদি
না আসও তাইলে অবস্থা কিন্তু অনেক
খারাপ হবে, যা তুমি ভাবতেও পারবে না -
ইতি নিশি।।।।
আমি কিছু না ভেবেই রাত ১০ টা বাজার
১৫ মিনিট আগেই ছাদে রওয়ানা দিলাম,
কারন আমিও ত নিশিকে ভালবাসি। কে
চায় তার ভালবাসার মানুষের কাছ থেকে
দূরে থাকতে।।।
আমি গিয়ে দেখি নিশি ছাদে দাড়িয়ে
কাদঁছে।।।।
-- তুমি এখন ছাদে কি করছো, তোমি ত বলছ
রাত ১০ টায় ছাদে আসতে ( আমি)
-- অপেক্ষা করছিলাম ,, তোমার জন্য
( নিশি)
-- এত তারাতারি কেন, ৫ মিনিট আগে
আসলেও ত পারতা ( আমি)
-- তোমার জন্য অপেক্ষা করতে আমার ভাল
লাগে ( নিশি)
-- ত কিশের জন্য এখানে ডাকছো আমাকে
(আমি)
-- আমি কথাটা সরাসরি তুমাকে বলতেছি,
কারন কথা আমি ঘুরিয়ে বলতে পারি না
( নিশি)
-- আচ্ছা কথাটা কি বলবা তো ( আমি)
-- আমি তোমাকে আমার চেয়েও বেশি
ভালবাসি, এখন তুমি যদি আমাকে
ফিরিয়ে দাও, হয়তো আমাকে কাল
সকালে ওঠে জিবিত না ও দেখতে পার
( নিশি)
এই কথাটা বলার সাথে সাথেই ওকে আমি
টান দিয়ে জরিয়ে দরি, নিশিও আমাকে
শক্ত করে জরিয়ে দরে।।।।
-- চুপ পাগলি, এ কথা আর কোনো দিন বলবে
না, তোমার কিছু হয়ে গেলে আমার কি হত
( আমি)
-- তুমি পাশে থাকলে আমি মরার কথা কেন
দুঃখের কথাও মুখ দিয়ে উচ্চারন করব না
( নিশি)
এখন থেকে সবসময় নিশিকে নিয়ে আশ্রমে
যায়তাম। এর কারন হল, নিশির সাথে একটু
টাইম spend করতে পারি আর আশ্রমের
ছেলেদের জন্য চকলেট নিয়ে।।।।।
এভাবেই আমাদের ভালবাসার দিনগুলি
অতিবাহিত হতে লাগল।।।।।
একদিন আমি নিশিকে কিস করতেছিলাম
হঠাৎ নিশির বাবা আমাদের
দেখেফেলছে।।
তারপর যা ঘটলো......
যারা গল্প পড়তে ভালবাসেন তারা
আমাকে ইনবক্সে বলে রিকোয়েস্ট দিবেন
নয়তো একসেপ্ট হবে না।।।।।
0 মন্তব্যসমূহ