কোচিং স্যারের সাথে প্রেম পর্ব-০৪ | | মোঃ ফয়সাল আহমেদ (শাওন)


একদিন আমি নিশিকে কিস করতেছিলাম
হঠাৎ নিশির বাবা আমাদের
দেখেফেলছে।।
আমাদের কাছে আসলো নিশির বাবা।
-- তকে এই খানে থাকতে দিয়ে আমি
আমার জিবনের সবচেয়ে বড় ভুল করছি,
তকে বিশ্বাস করে নিশির সাথে এরকম
ভাবে চলাফেরা করতে দিয়েছি। কিন্তু তুই
আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে
আমার মেয়ের মেয়ের সাথে লুচ্চামি শুরু
করে দিছত, তুই এই মূহুর্তে বাড়ি থেকে বের
হ ( আংকেল)
-- বাবা, আমি ফয়সালকে ভালবাসি, ওর
কোনো দূষ নেই আমিই ওকে ভালবাসার
কথা বলছিলাম ( নিশি)
-- কিশের ভালবাসা। একটা রাস্তার
ফকিরের সাথে কিশের ভালবাসা। আরে
রাস্তার ফকিরের ও ত বাবা কে মা কে তা
জানে। ও ত বাবা মা কে তা জানেই না, তুই
এখনও এখানে দাড়িয়ে আছিস কেন
তারাতারি বাড়ি থেকে বের হ ( আংকেল)
আমি কিছু বললাম না। কারন ওনি ত ঠিকই
বলছে, ওনার জায়গায় হয়তো আমি থাকলে
এই কথাই বলতাম।।।
বাড়ি থেকে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে একটা
বাসা খুজতেজি। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে
দেখি রাত ১ টা বেজে গেছে।।।। তবুও
সামনের দিকে হাটতেছি।।
হঠাৎ আমার চোখ গেল রাস্তার পাশের
একটা লোকের দিকে। তিনি রাস্তায় পরে
আছে পাশে একটা গাড়িি দাড়িয়ে
আছে।।।
তাকে নিয়ে আমি হাসপাতালে গেলাম।।।।
আমি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার
পাশে বসে আছি,তার মোবাইল থেকে wife
নামে save করা একটা নাম্বারে কল দেয়।
কিছুক্ষন পর তার স্ত্রী চলে আসে।।
লোকটির জ্ঞান ফেরার পর।।।।
কেমন আছেন এখন, আপনার কি হয়ছিল।।।
-- বাবা, আমি রাতে ব্যংক থেকে টাকা
তুলে নিয়ে আসছিলাম রাস্তায় ঢাকাতের
সাথে সংঘর্স হয়। তারপর আমার এই অবস্থা
( লোক)
-- আচ্ছা বাবা, তুমি কি করও ( লোক)
-- ঢাবিতে অনার্স করতেছি ( আমি)
-- তোমার বাবা মা কেমন আছে ( লোক)
-- আমার বাবা মা কে তা আমি জানি না,
আমি অনাথ আশ্রমে বড় হয়েছি ( কাদঁতে
কাদঁতে আমি)
তখন ওনার স্ত্রী আমার চোখের পানি মুছে
দিয়ে বললেন, কে বলছে তর বাবা মা নেয়
এখন থেকে আমরাই তোমার বাবা মা। আর
তুমি আমাদের একমাএ সন্তান।।।।
তারপর হাসপাতাল থেকে বাবা মায়ের
সাথে তাদের বাড়িতে গেলাম। এত বড়
বাড়ি আমি কখনও দেখেনি।।।।
বাসায় গিয়ে ফ্রেস হয়ে, খাবার টেবিলে
গেলাম তখন মা আমাকে নিজ হাতে
খায়য়ে দিলেন। জিবনের প্রথম আজকে
আমি আমার মায়ের আদর পেলাম।।।
-- বাবা, তুমি আমার সাথে একটু বাইরে চলও
( বাবা)
তারপর বাবার সাথে একটা দলিলপত্রের
অফিসে গেলাম।।।
-- বাবা এইখানে একটা সাইন করও ( বাবা)
আমি না পড়েই সাইন করে ফেললাম।।।
তারপর বাড়িতে চলে আসলাম।।।
-- এখন থেকে এই বাড়ি তোমার ( মা)
-- এটা করতে গেলেন কেন ( আমি)
-- আমরা তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি, তাই ভাবলাম
বাড়িটা ছেলের নামেই করে দিয়ে, একটু
নামাজ কালাম পড়বো ( বাবা)
রাতে ঘুমাতে না পরায়, সারাটা দিন
ঘুমিয়ে কাটালাম।।।
-- ঘুম থেকে ঔঠ,তর বাবা বলছে তার সাথে
অফিসে যায়তে ( মা)
ঠিক আছে।।
তারপর ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে একসাথে
অফিসে চলেগেলাম।।।।
গিয়ে দেখি আজকে অফিসে অনুষ্ঠান,
অবাক হওয়ার বিষয় হল সবাই আমাকে ফুল
দিয়ে বরন করতেছে।।।
তারপর, বাবা সবার সামনে ঘোষনা করল
যে,,,
-- আজ থেকে এই অফিসের বস আমার
একমাত্র ছেলে ফয়সাল ( বাবা)
আমি মনে মনে বলতেছি, মানুষগুলো
একদিনেই আমাকে এত আপন করে নিল।
দুনিয়াতে এখনও ভালও মানুষ আছে।।।
দিন যায় দিন আশে, মা বাবা অফিস
পড়াশুনা বেশ ভালই কাটছিল।
একদিন অফিসের কাজ করতেছি, এমন সময়
এইখানের রিসিপশনার কল দিল,,,,,
-- স্যার আপনার সাথে ম্যানাজার সাহেব
দেখার করতে চায় ( রিসিপশনার)
-- ঠিক আছে পাঠিয়ে দাও ( আমি)
আমি পেছনে ফিরে ভাবতেছি কোথায়
থেকে কোথায় চলে আসলাম।।
-- আসতে পারি স্যার ( ম্যানাজার)
-- হ্যা আসুন( আমি তখনও পেছনে ফিরে
আছি)
-- কেমন আছেন স্যার ( ম্যানাজার)
আমি সামনে তাকাতেই বড় ধরনের একটা
শক খেলাম.......

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ