অনেক ভেবে চিন্তে একটা উত্তর দিলাম,
নিশি শুনে ত একদম অবাক হয়ে একদৃষ্টিতে
আমার দিকে তাকাই আছে
-- ক্রাশ এমন একটি খাদ্য যা
ছেলেমেয়েরা বয়:সন্ধিকালের পর খায়,
একজন মানুষ একাধিক ক্রাশ খেতে পারে,
তবে ক্রাশের থেকেই ভালবাসার
উৎপত্তি।।।।।
-- এই কি দেখছও এমন ভাবে ( আমি)
-- আমি এখন ক্রাশ খায়তেছি ডিস্টার্ব
করবেন না( নিশি)
-- এই মেয়ে বলে কি, কোনো মতে আজকের
প্রইভেটটা শেষ করে আশ্রমে চলে
আসলাম।।।
নিশি কলেজে চলে গেল।।
--কি রে তুই বলে একটা বলদকে হোম টিচার
হিসেবে রাখছত ( রুমা)
--ওই খবরদার ফয়সালকে নিয়ে বাজে কথা
বলবি না ( নিশি)
--আচ্ছা তকে কেমন পড়ায় ( রিয়া)
--অনেক অনেক ভালও পড়ায় ( নিশি)
এই দিকে আমাকে আশ্রম থেকে বের করে
দিল, কারন এখানে পর্যাপ্ত জায়গা ছিল
না, তাছাড়া আমি কিছুটা বড়।
একটা বাসা খুজতেছি, এইদিকে একের পর
এক কল বাজতেছে, কলটা রিসিভ করতে মন
চায়ছে না। তবুও একটা বিরক্তিকর ভাব
নিয়ে কলটা রিসিভ করলাম।
--হ্যালো ভাইয়া( নিশি)
--হ্যা বলও ( আমি)
--আজকে পড়াতে আসতে দেরি করছেন
কেন ( নিশি)
--আজকে তুমাকে পড়াতে পারব না ( আমি)
--কেন পড়াতে পারবেন না ( নিশি)
--এমনি, তুমাকে বলা যাবে না ( আমি)
--যদি না বলেন তাহলে আপনি কাল থেকে
আর আমাকে পড়াতে আসবেন না ( নিশি)
--কিভাবে যে বলি, আসলে জায়গার
অভাবে আমাকে আমাকে আশ্রম থেকে
বের করে দিছে, তাই বাড়ি খুজতেছি
( আমি)
--ও আচ্ছা তাহলে কালকেই কথা হবে এখন
রাখি ( নিশি)
--ওকে ( আমি)
--আব্বু আমার একটা কথা ছিল ( নিশি)
--তকে কি আবার পারমিশন দিতে হবে, কি
বলবি বল ( আংকেল)
--আমার পরিক্ষা ত একদম সামনে চলে
এসেছে তাই বলছিলাম কি তুমি ফয়সাল
ভাইয়াকে বলে আমাদের বাসায় নিয়ে
আসও ওনি এখানে থাকবেন আর আমার যেই
সমস্যাগুলি আছে ওনি সলভ করে দিবেন
( নিশি)
--ও কি থাকতে রাজি হয়বে ( আংকেল)
--একবার বলেই দেখ না ( নিশি)
--দাড়াও তোমার সামনেই ওকে ফোন
দিচ্ছি ( আংকেল)
ক্রিং ক্রিং, ক্রিং ক্রিং
আবার কে ফোন করল, বলে ফোনটা রিসিভ
করলাম।
--আসসলামুআলাইকুম ( আমি)
--ওয়ালাইকুম ওসসালাম,বাবা তুমাকে
একটা কথা বলি কিছু মনে করবা না তো
( আংকেল)
--না, বলেফেলেন মনে করার কি আছে
( আমি)
--নিশির ত সামনেই পরিক্ষা, তুমি যদি
আমাদের বাসায় থেকে নিশিকে একটু
হেল্প করতে ( নিশি)
--না,আংকেল এতে করে আমার আরও ভাল
হবে ( আমি)
--ঠিক আছে তাহলে এখনি তুমার
আসবাবপত্র নিয়ে চলে আসও ( আংকেল)
--হ্যা( আমি)
পরদিন সকালে নাস্তা করে বসে আছি
আমার রুমে এমন সময় নিশি আংকেলকে
বলতেছে।।
--বাবা আমাকে রাস্তায় কিছু ছেলে
ডিস্টার্ব করে ফয়সাল ভাইয়াকে বলও না
আমার সাথে যায়তে ( নিশি)
--এই ফয়সাল, এদিকে আয়তো ( আংকেল)
--জ্বি আংকেল, কিছু বলবেন ( আমি)
--তুমি নিশির সাথে একটু বাইয়ে যেতে
পারবা ( আংকেল)
আমি আংকেলের কোনো কথা অমান্য
করি না তাই রাজি হয়ে গেলাম।।।।।
--এই চলেন তো, আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে,
আজ গাড়ি নিব না ( নিশি)
--এই রিকশা,উঠও ( নিশি)
তুমি করে বলল কেন আমি তো ওর স্যার,
আমি আর কিছু না বলে রিকশায় ওঠে
বসলাম।।।
--চলেন মামা ( নিশি)
নিশি এই দিকে চাপতেছে আর আমি সরে
যাচ্ছি।।।
--এই পরে যাবে তো ( একটা মুচকি হাসি
দিয়ে নিশি)
আসলে প্রথম দিন নিশিকে দেখেয় আমি
ভালবেসে ফেলছি কিন্তু আমার আর ওর
অবস্থানের কথা চিন্তা করে কিছুই বলি
না ওকে।।।।
তারপর একটু চেপেই বসলাম আমি।।।।
মার্কেটে গিয়ে ও শুধু ছেলেদের কাপড়
কিনছে,
আবার আমার গায়ের মাপ নিয়ে, আমি মনে
করলাম হয়তো BF কে গিফ্ট দিবে।।।।।
--এই নিন এগুলা আপনার জন্য ( নিশি)
--আমি কেন নিব আমার তো কাপড় আছেই
( আমি)
--নিতে বলছি নিবেন, আমি আর কোনো
কথা শুনতে চাচ্ছি না ( নিশি কিছুটা
রেগে)
আমি ভয়ে নিয়ে নিলাম।।।।
--এখন থেকে এগুলাই পরবেন ( নিশি)
আমাকে সেলুনে নিয়ে নিশির পছন্দের
হেয়ার কাটিং, সেইভ করালো তারপর
বাসায় চলে আসলাম।।।।
ওকে এখন পড়াতে হবে তাই ওর দেওয়া
কাপড়গলোর মধ্যে দুইটা পরে ওর রুমে
গিয়ে নক করতেই ও আমার দিকে এক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, কি মায়া চোখের
মধ্যে থাকে আমি ওকে না দেখলে হয়তো
বুঝতে পারতাম না।।।
এসে দরজাটা লক করে পড়তে বসলো।।।
--স্যার আপনাকে না সেই লাগতেছ,কালকে
কিন্তু আমাকে কলেজে নিয়ে যাবেন
( নিশি)
--ওকে এখন তাহলে পড়ায় মন দাও ( আমি)
--স্যার আপনাকে একটা জিনিস দিব,
আপনি কিন্তু কিছু মনে করতে পারবেন না
( নিশি)
--কি দিবা বলও ( আমি)
--আগে আপনি বলেন কিছু মনে করবে না
তো ( নিশি)
--ওকে কিছু মনে করব না ( আমি)
আমি ভাবতেও পারি নায় নিশি আমাকে
এমন একটা গিফ্ট, এই তাহলে তোমার
গিফ্ট,আসলে এটায় হয়তো আমার জিবনের
শ্রেষ্ঠ গিফ্ট।।।।
0 মন্তব্যসমূহ