আর কালকে রেডি হয়ে আসবি তোকে
নিয়ে এক জায়গায় যাবো(শিখা)
।
ঠিক আছে আসবো (আমি)
।
পরের দিন কলেজ গেলাম কলেজ ছুটির পর
শিখা আপু আমাকে ওদের বাসায় নিয়ে
গেলো।
।
তুমি আমাকে এখানে নিয়ে এলে কেনো
আপু (আমি)
।
তুই একটু বস আমি আসতেছি বলে শিখা
উপরে গেলো আমি বসে আছি একটু পর
একটা সাড়ি আর হিজাব পরে নিচে
আসলো। আমি একটু অবাক হলাম তাই বললাম
তুমি এই গরমে হিজাব পরে কোথায় যাবে
(আমি)
।
আজ আমার মায়ের মৃত্যু বার্ষিকী তাই
তোমাকে নিয়ে একটা যায়গায় যাবো
(শিখা)
।
আমি আর কিছু বললাম না ওদের গাড়িতে
করে আগে বাজারে গেলাম তারপর ওখান
থেকে একটা এতিম খানায় গেলাম
আমিতো কিছু বুঝছি না কি হবে তার পর
এতিম খানার সব ছেলে মেয়েকে নিয়ে
কোথায় যানি যাচ্ছি আমি শিখাকে
বললাম আমরা কোথায় যাচ্ছি(আমি)
।
আমার মায়ের কবরে দোয়া করতে (শিখা)
।
সবাই ওর মায়ের কবরের পাসে গেলাম
তারপর আগর বাতি জালিয়ে দোয়া করা
সুরু করলাম শিখা দারিয়ে দোয়া করছে
আর কাদছে, ওর তো কাদারে কথা যে সময়
ওর মায়ের কোলে ঘুমানো কথা সে বয়সে
ওর মায়ের কবরে দোয়া করছে ভাবতেই
চোখে পানি চলে আসলো আসলে
পৃথিবীটা বড়য় নিষ্টুর,যাই হক তারপর
দোয়া শেষ করে আবার এতিম খানায়
ফিরে গেলাম বাজার থেকে যেসব কাপর
আর খাবার নিয়ে ছিলো সব ওদের দিয়ে
বাসায় চলে আসলাম, শিখাকে যত দেখছি
তত অবাক হচ্ছি আসলে ও রাগি হতে পারে
কিন্তু ওর মনটা খুব সুন্দর ,যাই হক তার পর
আমি বাসায় চলে আসলাম আর দেখতে
দেখতে শিখার জন্ম দিন চলে আসলো
বাজার থেকে একটা গিফ্ট কিনে বাসায়
গেলাম কালকে শিখার জন্মদিন,ওকে
দিতে হবে সেদিন আর কোথাও গেলাম না
পরের দিন বিকালে আমি রেডি হচ্ছি
শিখার জন্মদিনে যাওয়ার জন্য হটাৎ
ফোনের টনটা বেজে উঠলো আমি ফোনটা
হাতে নিয়ে ইস্কিনে দেখি আলিসার
ফোন আমি ফোনটা রিসিপ করতে ওপাস
থেকে সুদু কান্নার আওয়াজ পেলাম।
।
আলিসা তোমার কি হয়েছে তুমি কাদছো
কেনো আমাকে বলো (আমি)
।
কান্না যরিত কন্টে বলল মা কেমন যানি
করতেছে তুমি তারাতরি একটু আসতে
পারবে (আলিসা)
।
ঠিক আছে তুমি দারাও আমি এখনি
আসতেছি (আমি)
।
আমি ফোনটা রেখে কোনো চিন্তা না
করে আমাদের গাড়ি নিয়ে আলিসার
বাসায় গেলাম গিয়ে দেখি আলিসা ওর
মায়ের পাসে বোসে কাদছে আর ওর মা
ছটফট করছে আর মুখ দিয়ে রক্ত পরছে আমি
তারাতারি ওর মাকে নিয়ে হসপিটালে
গেলাম ডাক্তার ওনাকে ওপরেসন
থিয়েটারে নিয়ে গেলো আর আলিসা
কেদেই চলেছে আমি ওর চোখ দুটো মুছে
দিয়ে বুকে জরিয়ে নিয়ে বললাম কেদো
না সব ঠিক হয়ে যাবে (আমি)
।
একটু পর ডাক্তার বাইরে আসলো এসে বলল
দেখো বাবা আমরা এখন কার মতো ঠিক
করে দিয়েছি কিন্তু উনি আর বেশিখন
আমাদের মাঝে থাকবে না বলে ডাক্তার
চলে গেলো আমার মাথায় আকাস ভেঙ্গে
পর আর আলিসা আরো জোরে কান্না
করতে লাগলো ওর কান্না দেখে আমারও
চোখের পানি আটকাতে পারছি না।
আলিসাকে অনেক বুজিয়ে একটু সান্ত করে
ওর মাকে ওদের বাসায় নিয়ে আসলা আর
আলিসাকে বললাম।
।
তুমি একদম কাদবে না আর কোনো সমস্যা
হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ফোন করবে বলে
আমি ওদের কে রেখে বাসায় চলে আসলাম
বাসায় এসে দেখি ফোনটা খাটের উপর
পরে আছে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি
৮৮টা কল আর ৫৬টা sms শিখা আপুর
দিয়েছিলো কয়েটা sms এ লেখা তোকে
ছারা আমি কেক কাটবো না তুই এটা করতে
পারিস না।
।
আমার পায়ের নিচের মাটি সরে যাওয়ার
অবস্তা আমি এখন কি করবো হটাৎ আবার
ফোনটা বেজে উঠলো ফোনটা হাতে নিয়ে
দেখি শিখার ফোন রিসিপ করতে ওই পাস
থেকে বলল বাবা জলদি আসো আমার
মেয়েটা মরে যাবে এখনো কিচ্ছু খায়নি
এখনো তোমার ওপেখায় বসে আছে
(আংকেল)
।
আমি ওই অবস্তায় আবার শিখাদের বাসায়
গেলাম গিয়ে তো আমি পুরা শর্ক হলাম
পুরা বাসা তছনচ করা শিখার আব্বু মাথায়
হাত দিয়ে বসে আছে, আমি ওনার সামনে
যেতে উনি আমাকে দেখে বলল বাবা
আমার মেয়েটাকে বাচাও শিখা এখনো
সকাল থেকে কিছু খাইনি ঘরে দরজা বন্ধ
করে সুধু কানতেছে কারো কথা সুনতেছে
না,
।
আমি ওর ঘরের সমনে গিয়ে ডাকলাম কিন্তু
দরজা খুলতেছে না তাই বলল শিখা আমি
হসপিটাল গেছিলাম একটা বন্ধুর আম্মুকে
নিয়ে তাই আসতে পারনি শিখা আমার
কথা সুনে দরজা খুলল, কেদে চোখ ফুলিয়ে
ফেলেছে আমাকে দেখে জরিয়ে ধরে বলল
আমি তোকে ছারা বাছবো না, আমি যে
তোকে খুব ভালোবাসি আর তুই আমাকে
ছেরে আর কোথাও যাবিনা কথাদে,
১০০০ফোল্ডের শর্ক খেলাম আমি শিখাকে
কি বলবো বুঝতে পরছিনা এই অবস্তায়
আমি যদি না করি তাহলে শিখা একটা দূর
ঘটনা ঘটাবে কিন্তু আমি তো আলিসাকে
ভালোবাসি আমি এখন কি করবো,মাথায়
কিচ্ছু ঢুকতেছে না আমি নিজেকে একটু
কন্ট্রোল করে শিখাকে বললাম ঠিক আছে
তুমি কেদো না আমি কোথাও যাবো না
শিখাকে একটু বুঝিয়ে খাইয়ে বাসার
দিকে রহনা দিলাম মাথায় হাজারো
চিন্তা আমি আলিসাকে কি জবাব দেবো
ভাবতে সব গুলিয়ে যাচ্ছে,
।
ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসছি আম্মু্
আমাকে বলল।
।
আরিয়ান খাবিনা বাবা (আম্মু)
।
না আম্মু ভাল লাতেছেনা (আমি)
।
তোর কি হয়েছে বাবা তুই ঠিক মত খাচ্ছি
না সব সময় মন খারাপ করে থাকিস আমা
কে বল কি হয়েছে তোর (আম্মু)
।
না আম্মু কিছু হয়নি বলে রুমে চলে গেলাম
গিয়ে একটু সুয়ে পরলাম কিন্তু একটুও ঘুম
আসছে না, আমি এখন কি করবো ভাবতে
ভাবতে কখন যে ভোর হয়ে গেছে বুঝতে
পারিনি, হটাৎ ফোনটা বেজে উঠলো
ফোনে দেখি আলিসার ফোন রিসিপ
করতে সুদু কান্নার সব্দ পাচ্ছি কোনো
কথা নাই, আমি ফোনটা কেটে দিয়ে
তারাতারি আব্বুর বাইকটা নিয়ে বেরিয়ে
পরলাম।
।
আম্মু দেখে বলল এতো সকালে কই যাস
(আম্মু)
।
তোমাকে পরে বলবো (আমি)
।
বলে তারাতারি আলিসার বাসায়
পৌছালাম গিয়ে দেখি আলিসা বোসে
কাদছে আমাকে দেখে জরিয়ে ধরে
বলতেছে আমি একা এহে গেলাম আমার
মাও আমাকে ছেড়ে চলে গেলো আমি এখন
কি নিয়ে বাছবো ওর কান্না দেখে ,
আমার শরীর পাথর হয়ে গেছে আমি এখন
কি করবো কাকে ডাকবো আর আলিসাকে
কি ভাবে সান্ত করবো কিছু বুঝছি না,।
।
তাই আমি আমার আব্বুকে ফোন দিলাম
দিয়ে সব বললাম একটু পর আব্বু কিছু হুজুরকে
ডেকে নিয়ে আসলো আর আলিসার আম্মুকে
কবর দেয়া হলো,
।
আলিসা কিছু বলছে না সুধু বোবার মত বসে
আছে আমি আলিসাকে বোঝানোর চেষ্টা
করছি হটাৎ শিখার ফোন..........
--------------চলবে------------
বিদ্র:ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
0 মন্তব্যসমূহ