সিনিয়ার ডাইনি আপু পর্ব-০৬ | | মোঃরাসেল


আলিসা কিছু বলছে না সুধু বোবার মত বসে
আছে আমি আলিসাকে বোঝানোর চেষ্টা
করছি হটাৎ শিখার ফোন।

আমি ফোনটা রিসিপ করলাম না রিসিপ
করে কি বলবো আমি যে ওকে ভালোবাসি
না সেটাও বলতে পারছি না ওর ফোন
রিসিপ করে সুধু সুধু শিখার সুন্দর মনটাকে
কষ্ট দিয়ে কি লাভ এদিকে আলিসা
কোনো কথা বলছে না, ওকে একা রেখে
যেতেও পারছি না তাই ওকে সঙ্গে আমার
বাসায় নিয়ে গেলাম কিছু দিন মায়ের
সঙ্গে থাকলে সব ঠিক হবে মাকে
হারানোর বেধনাটা ভূলে যাবে, পরে না
হয় আবার ওর বাসায় চলে আসবে।

আমি গিয়ে বাসার দরজা নক করতে দরজা
খুলে দিল দরজা খুলতে আকাস থেকে
পরলাম,

তু তু তুমি এখানে কি করছো(আমি)

তুমি ফোন ধরতেছো না তাই আসলাম দেখি
তুমি কি করতেছো কিন্তু এই মেয়েটা কে ও
কেনো তোমার গায়ে হেলান দিয়ে আছে
(শিখা)

ভিতরে চলো তোমাকে সব বলছি বলে আমি
আলিসাকে একটা রুমে নিয়ে সুয়ে দিলাম
আব্বু আম্মু জানতো বলে কোনো সমস্যা
হলো না।

কি হলো কি বলবে (শিখা)

আমি শিখাকে সব বললাম আমি যে
আলিসাকে অনেক আগ থেকে ভালোবাসি
সেটাও বললাম শিখা সব সুনে চোখ ছলছল
করে কোনো কথা না বলে চলে গেলো।

শিখা সোনো সোনো আমি এতো ডেকেও
সুনলো না এখন আমি কি করবো কিছু বুজছি
না শিখা বাসায় গিয়ে কিছু একটা
দূর্ঘটনা ঘটাবে তাই বাইকটা নিয়ে
তারাতারি শিখার বাসার দিকে যাচ্ছি
মাথায় হাজারো চিন্তা হটাৎ একটা লরি
এসে ধাক্কা দিলো তারপর যখন ঙ্গান
ফিরলো নিযেকে হসপিটাসে আবিস্কার
করলাম দেখি আম্মু আব্বু আর আলিসা বসে
কাদছে একটু অবাক হলাম আমার তো বেশি
কিছু হয়নি তাহলে কাদছে কেনো
(মনেমনে)

তাই বললাম তোমরা কাদছো কেনো(আমি)

আমার কথা সুনে আম্মু আমাকে এসে
জরিয়ে ধরলো ধরে আরো জোরে কাদছে,

তুমি কাদছো কেনো আম্মু আমার তো কিছু
হয়নি (আমি)

আমাকে বুকে জরিয়ে নিয়ে বলল তোর
কিছু হবেনা সোনা তুই ভালো হয়ে যাবি
বলছে আর জোরে কাদতে লাগলো (আম্মু)

পাসে আব্বুও কাদছে আমি কিছুই বুঝতেছি
না একটু পর ডাক্তার আসলো এসে আব্বুকে
বলছে স্যার আপনার ছেলের কোমরে
আঘাত পেয়েছে তাই দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে
গেছে তারাতারি কিডনি জোগার করতে
না পারলে আমাদের কিচ্ছু করার থাকবে
না(ডাক্তার)

ডাক্তারের কথা সুনে আব্বু কিডনি খুতে
গেলো।
আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না আমার
কি হয়েছে, আমার একটু কষ্ট হচ্ছে না কিন্তু
আমার মা বাবা আর আলিসা কোনো
ভাবে নিজেকে সান্ত করতে পারছে না,
মেয়েটা সারা জীবন সুধু কষ্টই পেয়ে
গেলো।

হটাৎ একটা নার্স এসে ডাক্তারকে বলল
স্যার শিখা নামের একটা রুগি এসেছে
হাতের সিরা কাটা খুব রক্ত ঝরছে।

নার্সের কথা সুনে নিমিসে মনের আকাসে
কালো মেঘ জমে গেলো নার্স কোন
শিখার কথা বলছে তাই উঠে তারাতারি
দেখতে গেলাম গিয়ে দেখে নিযের চোখ
কে বিস্বাস করতে পারছি না শিখা নিথর
শরীরে সুয়ে আছে শরীর দিয়ে আষাঢ়ের
বৃষ্টির মত রক্ত ঝরতেছে, আর ওর আব্বু ওকে
ধরে কাদেছে আমি কোন মুখ নিয়ে শিখার
কাছে যাবো আমার জন্য আজ শিখা মরতে
বসেছে নিজেকে খুব অপরাধি মনে হচ্ছে।

ডাক্তার ওকে ওপারেসন থিয়েটারে নিয়ে
গেলো। আর একটু পর ডাক্তার এসে বলল
অনেক রক্ত বেরিয়ে গেছে তারাতারি
রক্ততের ব্যাবস্থা করুন আমাদের এখানে
(A+) রক্ত নাই (ডাক্তার)

আমি ওখান থেকে শিখার কাছে গেলাম
গিয়ে ওর মাথার কাছে বসে কান্না ধরে
রাখতে পারছি না তাই কান্না যরিত
কন্ঠে বললাম তুমি আমাকে খমা করে
দিয়ো, আমি তোমার কাছে থেকেও
তোমাকে বুঝতে পারলাম না, তুমি
আমাকে এতো ভালোবাসো, আমি আর
বলতে পারছি না চোখের পানি শিখার
মুখের উপর পরতেছে।

তাই আমি ওখান থেকে চলে আসলাম একটু
পর আম্মু আসলো এসে আমাকে যরিয়ে ধরে
বলল বাবা কিডনি পাওয়া গেছে আবার তুই
ভালো হবি আবার তুই আমার কোলে ফিরে
আসবি বলছে আর কাদছে। (আম্মু)

আম্মু কিডনি কই পাইলেন (আমি)

ডাক্তার বলল কিডনি পাওয়া গেছে বলে
আম্মু বাইরে গেলো।

আমি যানি না আল্লাহ আমি ভালো হবো
কি না তবে তুমি শিখাকে সুস্ত করেদিয়ো।
না হলে আমি কোনো দিন নিযেকে খমা
করতে পারবো না আল্লাহ,

একটু পর আলিসা আসলো কেদে চোখ লাল
করে ফেলেছে আমি ওকে পাসে বসিয়ে
বললাম,
রাতে আমার ওপারেসন হবে যানিনা
বাচবো কি না তুমি কিন্তু আর কাদবে না।
আলিসা আমার কথা সুনে আমাকে যরিয়ে
ধরলো ধরে বলছে তোমার কিছু হবে না
তুমি আবার ভালো হবে। বলে চলে গেলো,

দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেলো আমাকে
ওপারেসন থিয়েটারে নিয়ে যাচ্ছে আর
আম্মু আমাকে দেখে খুব কাদছে
যাথারিতি আমাকে ওপারেসন
থিয়েটারে নিয়ে গেলো............
-----------চলবে---------
বন্ধুরা আজকে একটু কাজ ছিলো তাই সট
হয়ে গেছে কালকে বেশি করে দিয়ে সমপ্ত
করে দেবো ইনসাআল্লাহ।
বিদ্র:ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ