দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেলো আমাকে
ওপারেসন থিয়েটারে নিয়ে যাচ্ছে আর
আম্মু আমাকে দেখে খুব কাদছে যানি না
কি হবে যাথারিতি আমাকে ওপারেসন
থিয়েটারে নিয়ে গেলো আর ওপারেসন সুরু
হয়ে গেলো।
।
আমি যানি না ঠিক কত দিন পর আমার
ঙ্গান ফিরলো। আমার ঙ্গান ফিরে দেখি
আম্মু আব্বু আর শিখা আমার পাসে বসে
আছে, শিখাকে দেখে আমার মনটা ভরে
গেলো যে শিখাও ভালো হয়ে গেছে
আমার চোখ খুলা দেখে শিখা আর আম্মু
আমার কাছে এগিয়ে আসলো।
।
তুমি কেমন আছো আম্মু (আমি)
।
ভালো বাবা এইদেখ শিখাও ভালো হয়ে
গেছে (আম্মু)
।
আমি বুঝিনি তোমার আমার জন্য এতো বড়
খতি হবে কি করবো আমি যে তোমাকে খুব
ভালোবাসি তাই সইতে পারিনি তোমাকে
ছাড়া আমি কিছু ভাবতে পাড়িনা বলতে
বলতে কেদে ফেললো। (শিখা)
।
আরে পাগলি কেদো না আমি তো এখন
ভালো হয়ে গেছি আর তুমি আমাকে এত
ভালোবাসো আমি বুঝতে পারিনি আমি
আমার মনের আকাসে আলিসাকে
বসিয়েছি জিবনের চেয়েও আমি ওকে
বেসি ভালোবাসি। আমার কথা সুনে
শিখা আর জোরে কাদতে লাগলো কিন্তি
আজ চলে যাচ্ছে না।
।
আমার হটাৎ মনে হলো আলিসা কোথায়
আমি কেনো ওকে দেখতে পারছি না তাই
আম্মুকে বললাম আম্মু আলিসা কোথায়
(আমি)
।
আম্মু কাদছে আর বলছে আছে বাবা আগে
তুই সুস্থ হয়ে উঠ তারপর ওর কাছে যাস
(আম্মু)
।
আমি একটু অবাক হলাম আম্মু আলিসার কথা
বলতে কাদছে কেনো আর আলিসা কোথায়
গেছে পরে কেনো দেখবো এখন কেনো
দেখতে পারবো না কিছু তো বুঝছি না
আম্মু কি বলছে কেনো আমার কাছে
আলিসার কথা লুকাচ্ছে আলিসা কি
তাহলে ওর বাসায় চলে গেছে ওকে দেখার
জন্য মনটা বেকুল হয়ে আছে তাই আবার
আম্মুকে বললাম আম্মু বলোনা আলিসা
কোথায় (আমি)
।
আমার কথা সুনে আম্মু কোনো কথা না বলে
চোখেরর পানি মুছতে মুছতে বাইরে চলে
গেলো।
।
আমারতো শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে
আলিসার কিছু হলো না তো ওর কিছু হলে
আমি নিযেকে কোনো দিন খমা করতে
পারবো না ভাবতে ভাবতে ডাক্তার
সাহেব চলে এলেন।
।
কেমন আছো ইয়ংম্যান (ডাক্তার)
।
জি স্যার ভালো (আমি)
।
তুমি এখন ৯০%সুস্থ এখন তুমি বাসায় যেতে
পারো আর কোনো সমস্যা নাই কয়েকটা
দিন বাসায় বসে রেস্ট নিলে পুরোপুরি
ঠিক হয়ে যাবে তুমি খুব লাকি এই ধরনের
রুগি পুরা সুস্থ হতে পারে না। হয় একটা
কিডনি নষ্ট থেকে যায় না হলে অনেক
দিনের পুরোনো কিডনি দেয়া হয় তাতে
বেশি শক্তি পাওয়া যায়না কিন্তু তুমি
দুইটা সুস্থ কিডনি পেয়েছো (ডাক্তার)
।
ডাক্তার সাহেব আমার কিডনি দুই টা কই
পাইছেন (আমি)
।
ও হে তোমার জন্য একটা চিঠি আছে
দারাও আমি নিয়ে আসতেছি বলে
ডাক্তার চলে গেলো, কিন্তু আমাকে কে
চিঠি লিখবে চিঠি লেখার মত আমার তো
কোনো বন্ধু নেই ভাবতেছি এর মধ্যে
ডাক্তার চলে আসলো।
।
এই নাও চিঠি(ডাক্তার)
।
কিন্তু কে দিয়েছে স্যার (আমি)
।
তুমি পড়লে বুঝবে কে দিয়েছে তুমি পড়
আমি যাই বলে ডাক্তার চলে গেলো আমি
চিঠিটা খুলতেছি কিন্তু আমার বুকের
ভিতরটা ধুক ধুক করতেছে খুব ভয় লাগতেছে
আমি ধিরে ধিরে চিঠিটা খুললাম তারপর
পড়তে সুরু করলাম কিন্তু পারছি না কেনো
যানি চোখে অজানতে পানি জমে গেছে
বুঝতেছি না কেনো এতো ভয় লাগছে
আমার একটু সাহস নিয়ে পড়তে সুরু করলাম।
।
প্রিয় বন্ধু যখন তমি এই চিঠিটা পারছো
তখন আমি তোমার থেকে অনেক দূরে।
অজানা অচেনা দেশে যেখানে আসলে
আর কেউ ফিরতে পারে না।এতটুকু পরে
বুকটা ডুকরে কেদে উঠলো আমি এটা কার
চিঠি পরছি আমার এত কষ্ট হচ্ছে কেনো।
কে লিখেছে সেটা দেখার জন্য আমি
চিঠিটার নিচের দিকে চোখ দিলাম।
দেখে আমি চিল্লিয়ে কেদে উঠলাম যেমন
আকাস কাদলে বিদ্যুৎ চমকে সব অন্ধকার
হয়ে যায় তেমনি আমারো সব আলো নিভে
গেলো। আমি বুকে একটু পথর চেপে আবার
পড়তে সুরু করলাম।
।
তুমি এখন আমার চিঠি পড়ে কাদবে আমি
চাইলেও তোমাকে বুকে জরিয়ে চোখের
পানি মুছে দিয়ে বলতে পাড়বো না। কিন্তু
তুমি কাদবে না তুমি কাদলে যে আমার খুব
কষ্ট হয় যানিনা কেনো তোমাকে এতো
ভালোবেসেছি যানো যেদিন আমার কষ্ট
গুলো তুমি ভাগ নিতে চেয়েছিলে সেদিন
আমি জীবনের সব চাইতে খুশি হয়ে ছিলাম
কারন তোমার মত একটা বন্ধু পেয়েছিলাম।
যানো আমি কোনো দিন মা বাবার আদর
পাইনি ভেবেছিলাম তোমার বুকে মাথা
রেখে সারাটা জীবন কাঠিয়ে দেবো
কিন্তু অভাগিনির কপালে কোনো দিন সুখ
সয় না। তোমাকে পেয়েও হারাতে হবে
এটা আমি কোনো দিন সইতে পারবো না।
যখন তুমি শিখা আপুর সঙ্গে কথা বলছিলে
আমি সব সুনেছি। মনে হয়ে ছিলো শিখা
আপু তোমাকে আমার থেকে বেসি
ভালোবাসবে তাই তোমাকে শিখা আপুর
কাছে রেখে গেলাম।
।
চোখের পানি পড়ে চিঠিটা পুরা ভিজে
গেছে আর পরতেও পারছি না গলা সুখিয়ে
যাচ্ছে চোখ গুলো মুছে আবার পরা সুরু
করলাম।
।
যানো তুমি যখন আমাকে বুকে জরিয়ে
নিয়ে সান্তনা দিতে মনে হতো আমি
পৃথিবীর সব চেয়ে বড় সম্পদটা পেয়েছি যে
তোমার মত ভালো একটা বন্ধু পেয়েছি
যাকে যাকে না দেখলে আমার দম বন্ধ হয়ে
যাবে যানো যেদিন আমার মা মারা যায়
সেদিন মনে হয়েছিল আমি মনে হয় একা
হয়ে গেলাম এখন কার কাছে থাকবো
কিন্তু যখন তুমি আমাকে তোমার বাসায়
নিয়ে এলে তোমার মা বাবাকে নিজের
মা বাবা মনে হতো আমি কেমন করে আমার
মায়ের চোখর পানি সই বলোতো আর
সোনো তুমি একদম পাগলামি করবে না
আমি তোমার হতে পারিনি তো তাতে কি
হয়েছে তোমার সঙ্গে তো সব সময় থাকবো
তোমার দেহে মিসে তুমি শিখা আপুকে
কষ্ট দিয়ো না শিখা আপু তোমাকে খুব
ভালো বাসে আর যখন তোমার আমার
সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা হবে আকাসের
দিকে চেয়ে থাকবে আমি তোমাকে তারা
হয়ে দেখবো তুমি ভালো থেকো ইতি
তোমার হতভাগা বন্ধু আলিসা।
।
চিঠিটা পরে আমি চিল্লিয়ে আল্লাহকে
বললাম হে আল্লাহ কেনো তুমি এতো
নিস্টুর হলে আমি তো কোনো অপরাধ
করিনি আমার কথা সুনে আম্মু এসে
আমাকে জরিয়ে ধরলো।
।
আর কাদিস না বাবা(আম্মু)
।
তুমি আমাকে আগে কেনো বলোনি আম্মু
যে আমাকে আলিসা তার জীবনটা দিয়ে
দিচ্ছে(আমি)
।
আম্মু কান্না করছে আর বলছে আমিও
জানতাম না বাবা সেই সময় ডাক্তার
আসলো এসে বলল আলিসা কাউকে বলতে
বারন করেছিলো আমি ওকে অনেক বলেছি
যে একবার চিন্তা করে দেখো কিন্তু
আমার কথা সুনেনি, আলিসার লাস মর্গে
আছে আপনারা নিয়ে যেতে পারেন।
।
আমি ডাক্তারের কথা সুনে উঠে মর্গের
দিকে ছুটে গেলাম গিয়ে দেখি কত সুন্দর
করে সুয়ে আছে ওকে দেখে আমার
দূনিয়াটা সাধা কুয়াসায় ঢেকে যাচ্ছে
আমি গিয়ে ওকে বুকে জরিয়ে নিলাম তুই
কেনো আমাকে ছেড়ে চলে গেলি তুই এত
ত্যাগ করতে পারিস আল্লাহ তোকে কি
মাঠি দিয়ে বানিয়েছে রে আমাকে একটু
বলবি। আমি পৃথীবির সব চেয়ে দূর ভাগা
যে তোর মত একটা বন্ধু পেয়েও আগলে
রাখতে পারলাম না। তুই আমাকে খমা করে
দিস । নার্স এসে আমাকে ধরে আলিসাকে
নিয়ে গেলো কবর দেওয়ার জন্য।
।
আমাকে ছেড়ে দাও আমি আলিসার কাছে
যাবো আমাকে ছেরে দাও কিন্তু
বিধাতার নির্মম পরিসংখানে আমি হেরে
গেলাম আর আলিসা পরপারে চলে গেলো
।
আজ ১বছর হয়ে গেলো শিখা এখন আমার বউ
কিন্তু আমি এখনো রাতে স্বপ্ন দেখে
আলিসা বলে চিল্লিয়ে উঠি আামি
কোনো দিন ভালো থাকবো না তোমায়
ছারা তুমি একটুও বুঝলে না সাদে দরিয়ে
ভাবছি হটাৎ শিখা এসে ডাকলো, আমি
চোখ মুছে বললাম আসতেছি?
।
-------------সমাপ্ত---------------
0 মন্তব্যসমূহ