এতটা মায়াবী পর্ব-০১ | | মোঃআর জে আরিয়ান আহম্মেদ রাজ

তোমাকে দিয়ে কোন কাজই হবে না।
(আমি)
-কেন?(ইপ্সিতা)
-কত কষ্ট করে আব্বুকে রাজি করিয়েছি
তুমি
জান?
-হ্যা জানি তো।
-কঁচু জান।জানলে অমন বেহায়ার মত
সামনে
এসে বসতে না।
-মানে কি হুম।তুমিই তো বলেছিলে আব্বুর
সামনে শাড়ি পরে আসতে।
-হ্যা বলেছিলাম।তবে আগোছালো ভাবে
পরতে বলিনি।
-আমি তো পরেছিলাম ভালভাবেই,তারপর
ভাবীও তো দেখে বলল ভালই লাগছে।
-পঁচা লাগছিল।ঠোঁটে অমন করে
লিপিষ্টিক
মেখে পেত্নি সেঁজেছিলে কেন?
-কই আমি তো একটুও লিপিষ্টিক লাগায়
নি।
আমার ঠোঁট এমনিতেই লাল।
-যাই হোক চোখদুটো ট্যারা করে
রেখেছিলে
কেন?
-কখন একেবারে না।
-তোমার চুলগুলো অনেক ছোট।
-কে বলল?আমার চুল অনেক লম্বা।
-চুপ একেবারে চুপ আব্বুর সামনে একটি
দিনের
জন্য ভদ্র সেঁজে থাকা গেল না।
-আমি কিন্তু কান্না করব এভাবে কথা
বললে।
বল কি হয়েছে?
-কি হয় নাই তাই বল?আব্বুর তোমাকে
পছন্দ হয়নি।
-মানে?
-তিনি বলেছেন এমন অভদ্র মেয়েকে তিনি
কখনই তার পুত্রবধু হিসেবে গ্রহন করবেন
না।
-আমার দোষটা কি সেটা তো বল?
-তুমি নাকি আমার আব্বুকে সালাম দাও
নি।
-কিইই,এত বড় মিথ্যা কথা।আমি তো
উনাকে
সালাম করেছি উনি খুশি হয়ে আমার
মাথায়
হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন।
-হতে পারে তবুও আব্বুর কোন কারনে
তোমাকে ভাল লাগেনি তাই আমাকে
জানিয়ে
দিল আগামী সপ্তাহে আমার বিয়ে।
-বিয়ে মানে কার সাথে?
-আব্বু যাকে পছন্দ করবে।
-তাহলে আমি কি করব?
-তুমিও অন্য কাউকে বিয়ে করে নিবে।
-কি বললে তুমি মেরে তোমার ঠ্যাং ভেঙে
দিব।
-সেটা আর হবেনা,আব্বু বলেছে বিয়ের
আগে
যেন বাসা থেকে বের না হই।
-মানে কি?তুমি আমাকে এভাবে ঠকাতে
পার
না।
-আমি নিরুপায় আমার কিছুই করার নাই।
তুমি
আব্বুর মনের মত হতে পারনি এটা তোমার
দোষ।
-এখন এসব বলছ কেন?প্রেম করার আগে মনে
ছিলনা।(কান্না কন্ঠে বলল)
-এমনটা হবে জানলে প্রেম করতাম না।
-কিইই?কি বরলে তুমি?তোমার মত এতটা
ভীতু রামছাগলের সাথে প্রেম করাটাই
আমার
ভুল হয়েছে।
-তাহলে সংশোধন করে নাও।
-মানে?
-ভুলে যাও।
-এত সহজে আমি তোমাকে ছেড়ে দিব না।
(কেঁদে কেঁদে বলল)
-তাহলে কি করবে শুনি?
-আমি সুইসাইড করে চিরকুটে লিখে যাব
আমার পেটে তোমার বাচ্চা ছিল,আমার
অস্বীকার করেছ বলে আমি সুইসাইড
করেছি।
-করতে পার। আমার কোন সমস্যা নাই।
-কি বললে তুমি?আমি মরে গেলে তোমার
কিছু যায় আসে না।এতদিন শুধু অভিনয়
করেছ?
-হুম।
-তুমি একটা ছ্যাচড়া,শয়তান।(কান্না
কন্ঠে)
-আর কিছু।
-তুমি গিরগিটি,কুত্তা,ব্যাঙ উহু উহু উহু
উহু...
টুট টুট টুট
-হ্যালো হ্যালো হ্যালো
যা চেয়েছিলাম তাই হল।আমার
মিথ্যেগুলো
একেবারে টপ করে গিলে ফেলেছে।প্রচন্ড
রাগে
অভিমানে কাঁদতে কাঁদতে ফোন
কেটেছে।এই যা
আবার কল দিয়েছে...
-হ্যালো..(আমি)
-আমার সাথে কেন করলে এগুলা।
-ইচ্ছে হল তাই।
-ভালবাসাটা এতই সস্তা জিনিস চাইলেই
ছুড়ে
ফেলা যায়।
-আমার কাছে ওরকমই কিছু একটা।
-আমার জীবনে সবথেকে ভুল কি জানো?
-কি?
-তোমাকে মনে প্রানে ভালবেসেছি।
-হতে পারে।
-একটা কথা শুনে রাখ অন্যকে কাঁদিয়ে
নিজে
কখনও সুখী হওয়া যায় না।
টুট টুট টুট
-হ্যালো হ্যালো।
এবারও রেগে ফোন কেটে দিল।প্রচন্ড
রকমের
ভালবাসে।আমি যে মিথ্যে গুলো বলেছি
বিশ্বাস করেছে,তবুও মাঝে মাঝে ফোন
দিয়ে
বলবে এটা মিথ্যে তাই না শুভ্র।আমি যদি
বলি না আবার ফোন কেটে দিবে।তবুও
সহজে
ভুল বুঝবে না।
.
ইপ্সিতাকে আমি সেই কলেজ লাইফ থেকে
চিনি।দেখতাম ভালই লাগত।ভাল লাগাটা
কখন
যে ভালবাসায় পরিনত হয়ে বুঝিনি।
সৌভাগ্য
শত কলেজ লাইফ শেষে একই ভার্সিটিতে
চান্স পাই দুজন।তারপর থেকে হালকা
হালকা
কথাবার্তা হত ক্লাসের বিষয়ে।একসময়
বলেই
ফেলি ভালবাসি তোমাকে।নরম স্বভাবের
এই
মেয়েটি যে এত পাকনী,উত্তরটা দেয়
একমাস
পরে,এরকম ছিল উত্তরটা,দেখ ওসব
ভালবাসায় আমার এ্যালার্জি
আছে,ভালবাসি
যদি বলি কাল বলবে রুমে চল।আমি ওসব
লুতুপুতু প্রেম করতে চাইনা তাই
ভাবাভাবির
কোন ব্যাপার নাই।কি সাংঘাতিক মেয়ে
একমাস ভেবে এই উত্তর.................
:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ