কোচিং স্যারের সাথে প্রেম পর্ব-০৫ | | মোঃ ফয়সাল আহমেদ (শাওন)

 কেমন আছেন স্যার ( ম্যানাজার)
আমি সামনে তাকাতেই বড় ধরনের একটা
শক খেলাম।
-- আপনি? ( আমি)
--আমারও ত একই প্রশ্ন ( ম্যানাজার)
[ বুঝলেন না, আমাদের ম্যানাজার সাহেবই
নিশির বাবা]
-- তুমি এখানে কি করও ( আংকেল)
-- শুনেন, এইটা আপনার বাসা না, আপনার
যা ইচ্ছা তাই বলে ফেলবেন, এইটা অফিস
so mind it ( আমি)
-- সরি স্যার( আংকেল)
-- ঠিক আছে এখন কাজের কথায় আসুন
( আমি)
এভাবেই প্রতিটি ক্ষেত্রে নিশির
বাবাকে কিছুটা insult করতাম,যাতে
অহংকার কমে যায়।।।।
প্রতিদিন রুটিন মাফিক কাজ করতে
লাগলাম।। পাশাপাশি বাবা মায়ের
সেবাও করতাম।।।।
আমি অফিসের একজন কর্মচারীর কাছ
থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে একদিন
বাসায় চলে আসলাম।।।
-- শুন ফয়সাল, তুই কি আমাদেরকে পর পর
ভাবতেছত ( মা)
-- হঠাৎ এই কথা কেন বলও তো ( আমি)
-- তর টাকা লাগলে তুই আমার কাছে বলতি,
ইমনের কাছ থেকে টাকা নিতে তকে কে
বলছে ( মা)
-- সরি সরি,, এই তো কানে ধরলাম এবার
ক্ষমা করও প্লিজ ( আমি)
-- যাহ দুষ্টু ছেলে, মাকে কখনও সরি বলতে
নেয়, এই নে এইখানে ১ লক্ষ আছে,আর এই
নে ATM কার্ড, তর যত টাকা লাগে তুলে
নিবি ( মা)
-- মা, আমি এত টাকা দিয়ে কি করব
( আমি)
-- তকে নিতে বলছি নিবি, ব্যাস( মা)
আসলে ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম,
আশ্রমের ছেলেদের জন্য কিছু নিয়ে
যেতে।।।
আমি আশ্রমের ছেলেদের জন্য কিছু চকলেট
আর কিছু খেলনা নিয়ে আশ্রমে চলে
যায়।।।।
একে একে সবাইকে চকলেট দেওয়ার পর,
একটি ছেলে আমাকে বলল।।।
-- আচ্ছা ভাইয়া তোমাকে একটা কথা বলি
( ছেলে)
-- হ্যা বল, কি বলবি( আমি)
-- একটি মেয়ের দিকে আঙ্গুল দিয়ে বলল,
ওই মেয়েটি প্রতিদিন আমাদের জন্য
চকলেট নিয়ে এসে এখানে দাড়িয়ে
কান্না করে ( ছেলেটি)
আমার আর বুঝতে বাকি রইল না, এটা নিশি
ব্যতীত আর কেউ নয়।।।
আমি দৌড়ে নিশির কাছে গিয়ে
বললাম,কেমন আছও।।।
-- যেমনটা রেখে চলে গিয়েছিলে, তেমনি
আছি ( নিশি)
-- একি তোমার এই অবস্থা কেন, আর
চোখের নিচে কালও দাগ কেন ( আমি)
-- কিছু না এমনি ( নিশি)
-- শুন, আমি তোমাকে ভালবাসি, তাই আমি
তোমার অনুভুতিও বুঝতে পারি( আমি)
নিশি আমাকে সাথে সাথে জড়িয়ে ধরে
কান্না শুরু করে দিল।।
-- এই পাগলি আমি যদি তুমাকে ছেড়ে চলে
যায় তাহলে কি করবে ( আমি)
এই কথা বলার সাথে সাথে নিশি আমাকে
আরও শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।।
-- তুমি কি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে
( নিশি)
-- কি বলও, আমি একটু মজা করছিলাম, মাত্র
এতেই তুমি এত সিরিয়াস হয়ে গেছ ( আমি)
কিছুক্ষন কথা বলে, নিশির কাছ থেকে
চলে আসি বাসায়।।।।
-- এই ফয়সাল এদিকে আইতো বাবা( বাবা)
-- জ্বি বাবা বলেন ( আমি)
-- আমি তোমার কাছে একটা অনুরুধ
করতেছি, রাখবে ত বাবা ( বাবা)
-- অনুরুধ কেন আদেশ করেন ( আমি)
-- আমি তোমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছি
মেয়ে খুব পছন্দ হয়ছে আমাদের, বলও তুমি
কি রাজি( বাবা)
আমি বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে
হ্যা বলে দিলাম।।।
কারন: যারা আমাকে একদিনেই এত
ভালবেসেছে যে তাদের বাড়ি গাড়ি
ব্যাংক ব্যালেন্স সব কিছু আমার নামে
করে দিয়েছে, তাদের কথার অবাধ্য কি
করে হতে পারি।।।।।
-- বাবা বউ দেখবি না ( বাবা)
-- না,বাবা যেখানে তুমরা পছন্দ করেছ
সেখানে আমার আবার দেখার কি থাকবে
( আমি)
-- দেখতে হবে না কর ছেলে ( বাবা)
-- কি ফয়সাল শুধু তুমার ছেলে, ও আমারও
ছেলে কিন্তু ( মা)
-- তাহলে বাবা আগামী শুক্রবার তোমার
বিয়ে ফাইনাল ( বাবা)
আমি কিছু না বলে আমার রুমে চলে
আসলাম।।
-- ছেলে মনে হয় লজ্জা পাইছে ( মা)
তাহলে কি আমি নিশিকে কাছে পেয়েও
আবার হারাতে যাচ্ছি।।।।।।
আমি নিশিকে ছাড়া চোখে কিছুই দেখতে
পাচ্ছি না।নিশিকে দেখার জন্য
প্রতিদিন আশ্রমে গিয়ে বাচ্চাদের সাথে
খেলতাম এর আরেকটা কারন আছে অবশ্য,
নিজেকে ব্যস্ত রাখলে নিশির কথা
কিছুটা মনের আরাল হত।।।।।
আর সারাদিন, আম্মুর সাথে বসে স্টার
জলসা দেখতে লাগলাম। এর ও একটা কারন
আছে, আমি মনে করি পৃথিবীর সবচেয়ে
ভাল মেয়ে নিশি, এখন যদি অন্য একটা
মেয়েকে বিয়ে করি তায়লে ও যদি
সংসারে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে
তাহলে যেন আমি বুঝতে পারি।
কারন স্টার জলসা কিভাবে আগুন লাগাতে
হয় সংসারে সেই প্রশিক্ষণ দেয়, স্টার
জলসাতে সারাদিন একের পর এক নাটক
দিত তাই আমার সময়গুলিও তারাতারি শেষ
হতে লাগল।
দিন যায় দিন আশে, এভাবেই দেখতে
দেখতে শুক্রবার চলে আসলো, আমি কিছুই
ভাবতে পারছি না,
অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম সুইসাইট করব।।।
আমার মন হল, এভাবে মরে যাওয়ার জন্য ত
জিবন না, আমাকে বাচতে হবে নিশির
জন্য...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ