আসসালামু আলাইকুম (আমি)
।
ওয়ালাইকুম আসসালাম(আলিসা)
।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ (আমি)
।
কেনো ধন্যবাদ কেনো (আলিসা)
।
আমার চোখ খুলে দেওয়ার জন্য যে আমি
একজন মুসলিম (আমি)
।
হুম আপনাকে ও ধন্যবাদ (আলিসা)
।
আমি একটা কথা বলবো কিছু মনে করবেন
না তো (আমি)
।
যদি প্রেম ভালোবাসার কথা হয় তাহলে
থাক আর বলতে হবে না (আলিসা)
।
আরে না না শুধু বন্ধু হতে চাই হবেন (আমি)
।
হতে পারি তবে বেশি সময় দিতে পারবো
না (আলিসা)
।
কেনো (আমি)
।
সেটা পরে সুনিয়েন আর কলেজ ছুটির পর
আমি কোথাও যেতে পারবো না (আলিসা)
।
হুম ঠিক আছে(আমি)
।
আজ যে টুকু পেয়েছি তা নিয়ে খুশি থাকা
ভালো না হলে সব হারাবো (আমি
মনেমনে)
।
চলেন এখন ক্লাসে যাই (আলিসা)
।
একটা কথা বলবো (আমি)
।
হুম বলেন (আলিসা)
।
বন্ধুর মাঝে আপনি কথাটা কেমন যানি
লাগে (আমি)
।
এক দিনে সব চাচ্ছেন নাকি (আলিসা)
।
না ঠিক আছে ধিরে ধিরে হলে চলবে
(আমি)
।
তারপর আমরা দুজনে ক্লাসে গেলাম ক্লাস
শুরু হয়ে গেলো আর আজ যতা সময়ে কলেজ
ছুটি হয়ে গেলো
আর আলিসাও বাসায় চলে গেলো আমি
কলেজের বারানডাই দারিয়ে আলিসার
পাসে দেখতেছি মেয়েটা কারো পাসে
দেখতেছেনা মাথানিচু করে নিজ মনে
হাটতেছে, হটাৎ শিখা আপু এসে বলল চল
(শিখা)
।
কোথায় যাবো (আমি)
।
আজ আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবি শহরের
বাইরে (শিখা)
।
এই সেরেছে কিন্তু আমার তো খিদা
লেগেছে (আমি)
।
বাইরে খেয়ে নিস এখন চল না হলে আব্বুকে
ফোন দিচ্ছি(শিখা)
।
আরে নানা আপু চলো আমি আবার কখন না
করলাম (আমি)
।
সালা জীবনটা নরক বানিয়ে ছাড়লো
বাসায় পালাতে ও পারছি না ফোন
নাম্বারটাও কোথা থেকে যানি পাইছে
(মনেমনে)
।
কি আর করা একটা রিকসা নিয়ে শিখা
আপুকে নদীর ধারে নিয়ে গেলাম আর নদী
দেখে সেকি আনন্দ মনে হয় জীবনেও নদী
দেখেনি শিখা আগে রিকসা থেকে নেমে
দৌউরে নদীর ধারে গেলো আমি রিকসা
ভারাটা দিয়ে শিখার কাছে গেলাম।
।
যানিস আরিয়ান আমি কোনো দিন নদী
দেখিনি আজ আমি খুব খুশি (শিখা)
।
আমি একটু অবাক হলাম এই মেয়ে কি বলে
তাই বললাম কেনো (আমি)
।
আমার আব্বু কোনো দিন আমাকে কোথাও
নিয়ে যায়নি সময় পায়না বলে (শিখা)
।
কিন্তু ওনার আম্মু তো নিয়ে যেতে পারে
মনেমনে ভাবলাম কিন্তু বললাম না মনে হয়
উনিও চাকরি করে।
।
বসে গল্প করতে সন্ধা হয়ে গেলো তাই
বললাম এখন চলেন বাসায় যাই সন্ধা হয়ে
গেছে (আমি)
।
আর একটু থাকি (শিখা)
।
আমি কিছু বললাম না আর একটু থাকার পর
বাসার দিকে হাটা দিলাম।নিরবে দুজন ে
হাটছি হটাৎ শিখা নিরবতা ভাংগিয়ে
বলল তোকে অনেক ধন্যবাদ(শিখা)
।
কেনো ধন্যবাদ দিচ্ছেন কেনো (আমি)
।
আমাকে এতো সুন্দর একটা জায়গায় নিয়ে
আসার জন্য(শিখা)
।
আমি কিছু না বলে বাসায় চলে আসলাম
আর শিখা আপুও বাসায় চলে গেলো
সেদিনের মত ঘুমিয়ে পরলাম আর এই ভাবে
কিছু দিন কেটে গেলো, এখন আলিসা
আমাকে তুমি করে বলে, আমার ফোন
নাম্বার টাও, ওর কাছে আছে, আমি যে
ওকে ভালোবাসি সেই কথাটা সুধু বলতে
হবে কিন্তু সাহস পাইনা যদি না করে দেয়
আর আমার সঙ্গে সমর্পক নষ্ট করে দেয় সেই
ভায়টা সব সময় মনে বিরাজ করে। হটাৎ
ফোনের সব্দে ঘোর ভাংল ইস্কিনে দেখি
শিখা আপুর ফোন সালা আবার কোনো
ঝামেলায় ফেলবে কিন্তু কি করবো ফোন
না ধরলেও নয় তাই ফোন রিসিপ করলাম,
ফোন রিসিপ করার সঙ্গে বলল।
।
তুই একটু আমাদের বাসায় আয়তো আব্বু
তোকে ডাকতেছে (শিখা)
।
আমার তো বুকে ইদুর নাচা সুরু
করলো,আমিতো কিছু করিনি তাহলে
কেনো ডাকতেছে,(মনেমনে)
।
বললাম কেনো(আমি)
।
আমি যানি না তারাতারি আয় (শিখা)
।
আমি ফোনটা কেটে দিয়ে দুরু দুরু বুকে
শিখা আপুদের বাসার দিকে হাটা দিলাম
শিখা আমাকে ওদের বাসা দেখিয়ে
দিয়ে ছিলো তাই কোনো সমস্যা হলো না।
গিয়ে দরজায় নক করলাম শিখা দরজা খুলে
দিলো।
।
কিরে এতো দেরি হলো যে (শিখা)
।
হেটে আসলাম তাই কিন্তু আমাকে কেনো
ডাকেছে আপু আমিতো তোমার সব কথা
সুনি (আমি)
।
আমি যানি না (শিখা)
।
আমি ভিতরে গেলাম গিয়ে দেখি পেপার
পরতেছে বাবা কি শরীর আমার তো হাটু
কাপা সুরু করেদিছে কি বলবো বুঝতে
পারছি না। তাই সালাম দিলাম
।
আসসালামু আলাইকুম আংকেল(আমি)
।
ওয়ালাইকুম আসসালাম আরে বাবা
দারিয়ে আছো কেনো বসো (আংকেল)
।
না আংকেল ঠিক আছে (আমি)
।
আরে ভয় পেয়ো না বসো (আংকেল)
।
আমি ভয়ে ভয়ে একটু বসলাম আর শিখা আপু
নাস্তা নিয়ে আসলো আমি একটু অবাক
হলাম এতো বড় বাসায় শুদু দুই জন মানুষ
শিখার আম্মু কই কিন্তু মুখে বললাম না।
।
নেও বাবা খাও।(আংকেল)
।
আমি একটা বিস্কিট নিয়ে খেতে সুরু
করলাম। আংকেল বলল যানো বাবা আমি
আমার মেয়েটাকে একটুও সময় দিতে পাড়ি
না, যেদিন থেকে ওর মা মারা যায় সেদিন
থেকে আমি কোনো দিন আমার
মেয়েটাকে হাসতে দেখিনি সারা দিন
চুপচাপ থাকতো কিন্তু কিছু দিন থেকে
শিখাকে খুব হাশি খুশি থাকতে দেখে
ওকে বললাম। আর ও তোমার কথা বলল
ওযদি তোমার সঙ্গে কোনো দুষ্টি করে
খমা করেদিও বাবা।(আংকেল)
।
আমার পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো,
শিখাকে দেখে আমি কোনো দিন
ভাবিনি ওর বুকে এতো বড় কষ্ট লুকিয়ে
আছে, আমি ওকে যেদ িন থেকে দেখেছি
সেদিন থেকে তো সব সময় আনন্দে থাকতো
দেখতাম (মনেমনে)
।
আমি যে কি বলবো বুঝতে পাড়ছি না
আংকেলের চোখে পানি জমে গেছে হটাৎ
আংকেল বলল তুমি মন খারাপ করোনা
বাবা (আংকেল)
।
আরে নানা আংকেল (আমি)
।
আর সোনো বাবা তোমাকে যে জন্য
ডেকেছি সমনের সপ্তাহে শিখার জন্মদিন
তুমি কিন্তু অবশ্যই আসবে।(আংকেল)
।
ঠিক আছে আংকেল(আমি)............
-------------চলবে---------
বিদ্র:ভুল হলে ক্ষমা করবেন
ধন্যবাদ সবাইকে
0 মন্তব্যসমূহ