একি একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা
খেয়েছে আবির ।
আর সেই সেই মেয়েটাই গায়ে ধাক্কা
লাগার সাথে সাথেই আবিরের গালে
একটা থাপ্পর বসিয়ে দেয় ।
ওই হারামির বাচ্চা চোখ কি কপালে
নিয়ে ঘুরিস নাকি । দেখে শুনে চলাফেরা
করতে পারিস না ।মেয়ে দেখলেই গায়ে
পরতে ইচ্ছে করে তাইনা । যওসব আজাইরা
কোথাকার ।( মেয়েটি)
আসলে আমি দেখতে পারি নি । sorry ..
( আবির )
আবার মুখের উপর কথা বলিস । আর একটা
খাওয়ার ইচ্ছা আছে মনে হয় ।
মেয়েদের গায়ে এসে পরবে আাবার বলবে
sorry । ( মেয়েটি )
এই মেঘা চলতো । এইসব ফকিরের
বাচ্চাদের সাথে অযথা কথা বলে সময় নষ্ট
না করাই ভাল । ( আর একটি মেয়ে )
হুমমম চল ...( মেয়েটি মানে মেঘা )
আবির গালে হাত দিয়ে কিছুক্ষন পর
সেখান থেকে চলে গিয়ে নিজের সিটে
বসল ।
কিছুক্ষন পর পরীক্ষা শুরু হলো ....
আবিরের মন খারাপ তবুও সে ভালই
পরীক্ষা দিল ।
পরীক্ষার হল থেকে বের হয়েই আবির
বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা
করতে লাগলো । খুব বেশি টাকা না
থাকায় সে লোকাল বাসের জন্য অপেক্ষা
করতে লাগলো ।
কিছুক্ষন পর বাস চলে আসলে আবির উঠে
পরে । সেখানে গিয়ে আবির দেখলো মাএ
একটা সিট ফাকা আসে । আবির সেখানেই
বসল ।
কিছুক্ষন বাস চলার পর বাস আবার থেমে
গেল ।
একজন লোক বাসে উঠলো ।
এইযে মামা আপনি উঠেন ( কন্ট্রাক্টর )
কেন মামা ( আবির )
উনি বসবেন ।
কেন মামা ভারাতো আমিও দিব তাহলে
আমি কেন দারিয়ে যাবো ( আবির )
ওই তুই উঠবি না কলার ধরে তুলতে হবে ।
ওখানেই আমি বসবো । (লোকটি )
আবির আর কোন কথা না বলে উঠে পরে ।
আর মনে মনে ভাবে গরিবদের কেন এতো
অবহেলিত হতে হয় ।গরিবরা কি মানুষ না ।
তার সাথে মমতাজের সেই বিখ্যাত গানটি
মনে পরে যায় ।
বন্ধু তুই লোকাল বাস বন্ধু .......
তুই লোকাল বাস ....
আদর কইরা ঘরে তুলোস ....
ঘার ধইরা নামাস .....
বন্ধু তুই লোকাল বাস ....
এসব ভাবতে ভাবতে আবির তার গন্তব্যে
এসে পৌছায় .....
তুই এসে গেছিস বাবা ( আবিরের মা )
হ্যা মা ..( আবির )
আবিরের মা কাপরের আচল দিয়ে
আবিরেব মুখ মুছে দেয় । আর এতেই
আবিরের সকল দুঃখ কষ্ট মুছে যায়
আবির যেন এই ভালবাসায় সারাজিবন
ডুবে থাকতে চায় ।
এভাবেই কেটে গেল কয়েক দিন .....
এরই মধ্যে আবিরের ভর্তি পরীক্ষার
ফলাফল দিয়েছে ।সে টিকে গেছে ।
আজ আবিরকে শহরে যেতে লেখাপড়ার
জন্য ।
তার মা কান্না করছেন । তবুও কষ্টকে বুকে
চেপে রেখে দিয়েছেন । কারন তিনি চান
তার সন্তান জীবনে অনেক বর হোক ।
আজ অাবির কলেজ হোস্টেলে উঠেছেন ।
কাল থেকে আবিরের ভার্সিটি লাইফ শুরু ।
এই আবির ওঠ । ভার্সিটি যেতে হবে না ।
দেরি হয়ে যাবে তো ।( আবিরের ক্লাস
মেট রাহুল)
এইতো উঠছি ( আবির )
তারাতারি ওঠ ( রাহুল)
ভার্সিটি কাছাকাছি হওয়ায় আবির
হেটেই গেল ।
আজ আবির সেই একই ভাবেই ভার্সিটিতে
ঢুকছে । তার মনে একটাই ভয় আজ যেন
আবার কারো সাথে ধাক্কা না লাগে ।
এসব ভাবতে ভাবতে আবির চরদিকে
তাকালো । সে দেখলো সবাই কতো স্মার্ট
হয়ে এসেছে ।
এদের কাছে আবির কিছুই না ।
আবির একটা গাছের নিচে বসে আছে ।
এই ছেলে এখান থেকে ওঠো ।আমরা
এখানে বসব ( পছন থেকে একটি মেয়ের
কন্ঠ)
আবির পেছনে তাকিয়েই তো অবাক।
যে মেয়েটা ওকে চর মেরেছিল সেই
মেয়েটাই ।
ওই তুই এখানে কেন ।( মেঘা)
আমি এই ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছি ।
( আবির)
ওহ..কেনো যে এদের এইসব ভার্সিটিতে
চান্স দেওয়া হয় ।
এই শোন এখানে পড়বি ঠিক আছে ।কিন্তু
ভুল করেও আমাদের সামনে পরবি না ।
তোর এই এই ক্ষেত মার্কা চেহারাটা আর
আমাদর দেখাবিনা ।
কি অসভ্য মেয়ে রে বাবা ( মনেমনে)
আবির সেখান থেকে মাথা নিচু করে
ক্লাসে চলে গেল ।
ক্লাস শেষ করে আবির হোস্টেলে চলে
আসল । আর শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলো
এভাবেই কি গরিবরা সারাজীবন
অবহেলিত হয়ে থাকবে ।
কিছুদিন পর ....
আবির একটা গাছের নিচে বসে আসে । সে
দেখলো কিছু ছেলে হাতে স্টিক নিয়ে
তার দিকে আসছে।
ওই তোর নামকি আবির ( একটি ছেলে )
হ্যা ..কেন (আবির)
চল আমাদের সাথে...
# চলবে ........
0 মন্তব্যসমূহ