আম্মু তারাতারি খেতে দাও কলেজের সময়
পেরিয়ে যাচ্ছে(আমি)
।
তুই বোস আমি নিয়ে আসছি (আম্মু)
।
আমি খেতে বসে গেলাম আম্মু খেতে
দিলো খাওয়া শেষ করে, কলেজ বের হলাম,
আজকে প্রথম দিন কলেজ যাচ্ছি নতুন
কলেজ নতুন বন্ধু ভাবতে ভালো লাগে,
একটা রিকসা নিয়ে চললাম কলেজ যেতে
যেতে পরিচয়টা দিয়ে নেই আমি আশিকুর
রহমান আরিয়ান সবাই আরিয়ান বলে
ডাকে ইন্টার প্রথম বর্ষে নতুন ভর্তি হয়েছি
আব্বু আম্মুর দ্বিথীয় সন্তান আমার বড়
আপুর বিয়ে হয়ে দুলাভাইয়ের সঙ্গে
বিদেসে থাকে, আর আব্বু নিয়ের কম্পানি
দেখা সুনা করে।
।
যাইহক আমি কলেজ এসে গেছি রিকসা
থেকে নেমে ক্যাম্পাসে গিয়ে ঢুকলাম
ঢুকে মনটা মুক্ধ হয়ে গেলো কতো সুন্দর
ক্যাম্পাস এর আগে যখন ভর্তি হওয়ার সময়
এসেছি তখন এতো সুন্দর দেখা যায় নি
কারন তখন এতো ছাত্র ছাত্রী ছিলো না,
আমি দারিয়ে ক্যাম্পাসটা দেখতেছি
হটাৎ পিছন থেকে একটা ধাকা আসলো
পিছন ফিরে দেখি একটা মেয়ে রাগি লুক
নিয়ে দাড়িয়ে আছে আমি কিছু বলার
আগে মেয়েটি বলল,
।
ওই তোর দারানোর জায়গা নাই নাকি
রাস্তায় দারিয়ে আছিস (মেয়েটি)
।
আমি চার পাসটা ভালো করে দেখলাম
সবতো ফাকা তাই বললাম আপনি কি হাতি
নাকি এতো বড় জায়গা লাগে (আমি)
।
ওই তুই আমারে কি বললি আমি হাতি হুম ওই
তুই কোন ইয়ারে পড়িস (মেয়েটি)
।
ফাস্ট ইয়ার (আমি)
।
ওই তুই যানিস আমি তোর সিনিয়ার,
সিনিয়ার আপুদের সঙ্গে কিভাবে কথা
বলতে হয় তাও যানিস না (মেয়েটি)
।
যা বাবা আমি আবার আপনার সঙ্গে কি
ভাবে কথা বললাম (আমি)
।
আবার মুখে মুখে কথা (মেয়েটি)
।
মেয়েটির সঙ্গে আর দুইটি মেয়ে যোগ
দিলো আমার তো হাটু কাপা সুরু হয়ে গেছে
আমি যে কেনো এই মেয়ের সঙ্গে কথা
বলতে গেলাম, আল্লাহ আমাকে রহ্মা কর।
।
কি হয়েছে রে দোস্ত (মেয়েটির বান্ধুবি
দুটো)
।
আর বলিস না এই ব্যাটা অন্যায় করে
আবার আমাকে হাতি বলে একে কি করা
যায় বলতো (মেয়েটি)
।
কান ধরে দশ বার উঠবস করিয়ে ছেরে দে
(মেয়েটির বান্ধুবি)
।
এই মেয়ে বলে কি প্রথম দিনে আমার মান
সম্মান চাদের দেশে পাঠিয়ে দেবে
দেখছি।
।
ওই কি হলো কান ধর না হলে উড়াধুড়া মাইর
খাবি (মেয়েটি)
।
মেয়ে মানুষের হাতে মাইর খাওয়ার থেকে
কান ধরায় ভালো তাই কান ধরে দশ বার
উঠবস করলাম।
।
ওই হয়েছে এবার যা, ওই সুন সুন তোর নাম কি
(মেয়েটি)
।
আমার মান সম্মান শেষ করে এখন নাম
সোনা হচ্ছে মনে হয় একটা ঘুসি মেরে
নাকটা ফাটিয়ে দেই কিন্তু না একটা
ধাক্কা খাওয়ার ফল আমি সইতে পারছি
না। (আমি মনে মনে)
।
ওই কি হল তোর নাম নাই নাকি (মেয়েটি)
।
জি আরিয়ান (আমি)
।
কি আরিয়ান পুরা নাম বল (মেয়েটি)
।
আশিকুর রহমান আরিয়ান(আমি)
।
ঠিক আছে এখন যা (মেয়েটি)
।
দেহে মনে হয় একটু প্রাণ ফীরে পেলাম
তাই সোজা নোটিস বোডে গিয়ে ক্লাস
রুমের নাম্বার টা দেখে সোজা ক্লাসে
চলে গেলাম গিয়ে ব্যাগটা রাখতে একটা
ছেলে আসলো।
।
হায় আমি আবির ইন্টার ফাস্ট ইয়ার
(আবির)
।
হেলো আমি আরিয়ান সেম ইয়ার (আমি)
।
ওই সিনিয়ার আপুটি তোমাকে কি বলল
(আবির)
।
এই সেরেছে ও কি সব দেখে নিলো না কি।
আমি একটু সাভাবিক হয়ে বললাম না তেমন
কিছু না তুমি কি ওকে চেনো (আমি)
।
হুম চিনিতো ওর নাম শিখা আর ওর বাবা
পুলিশের ডিইজি তাই কোনো ছেলে ওর
সামনে যায়না (আবির)
।
আবিরের কথা সুনে আমার গলা সুকিয়ে
গেলো, বরো বাছা বেছে গেছি যদি
পুলিশে দিতো ভাবতে গা সিউরে উঠে,
প্রথম দিন কলেজে এসে কেছ খেয়ে
যেতাম যাই হক মেয়েটা কিন্তু পরীর
রানির মতো সুন্দর রাগলে অনেক কিউট
লাগে, কিন্তু মনটা কয়লার মতো কালো
ভাবতে ভাবতে ক্লাসে স্যার চলে
আসলো,প্রথম দিন কোনো ক্লাস হলো না
পরিচয় দিয়ে নিয়ে কলেজ ছুটি দিলো,
আমি ব্যাগটা নিয়ে ক্লাস থেকে বাইর
হলাম হয়ে সোজা বাসার দিকে হাটা
দিলাম, পিছন থেকে মেয়েলি কন্ঠে ওই
আরিয়ানের বাচ্ছা,
।
পিছনে ফিরে দেখি শিখা আপু আমার তো
আবিরের কথা সুনে এমনিতে গলা সুকিয়ে
গেছে, কোনো মতে বললাম জি আপু (আমি)
।
কিরে তুই এই রকম করে কথা বলছিস কেনো
(শিখা)
।
না মানে গলাটা কেমন যানি করতেছে
তাই (আমি)
।
আচ্ছা ঠিক আছে আমাদের জন্য একটা
রিকসা নিয়ে আয় (শিখা)
।
ঠিক আছে আপু যাচ্ছি (আমি)
।
সালা পুরা দিনটায় আজ খারাপ গেলো
কেনো যে ক্যাম্পাসে ঢুকে দাড়াতে
গেলাম, ভাবতে ভাবতে ধান্ধায় বাসায়
চলে আসছি হটাৎ মনে হলো আমি যে শিখা
আপুর জন্য রিকসা ডাকতে গেছিলাম, যা
সালা আমি তো ধান্ধায় বাসায় আসলাম
এখন কি হবে আমার কালকে, কালকেতো
আমাকে প্রানে মেরে দেবে।
।
যাই হক আমি ফ্রেস হয়ে একটু খেয়ে সুয়ে
পরলা বিকালে বল খেলতে যাচ্ছি হটাৎ
শিখা আপু কোথা থেকে এসে বলল কালকে
ঠিক ৮টার সময় কলেজ আসবি না হয়ে
তোকে পুলিশ দিয়ে তুলিয়ে নিয়ে আসবো
বলে চলে গেলো আমার জীবন যায় যায়
আবস্তা আমি আর বল ও খেলতে গেলাম না,
কেনো যে ধান্ধায় বাসা চলে আসলাম
কালকে যে আমাকে কি করবে আল্লাহ
ভালো যানে ওই টেনসনে রাতে ঘুম আসছে
না কালকে গিয়ে কি বলবো ভাবতে
ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি বুঝতে
পারিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ৮টা
বাজে সালা এখনেও দেরি ত াই
তারাতারি রেডি হয়ে কলেজ বের হলাম।
।
কি হলো বাবা খেয়ে যাবি না (আম্মু)
।
সময় নেই আম্মু বাইড়ে খেয়ে নেবো (আমি)
।
আমি সোজা কলেজে গেলাম গিয়ে দেখি
শিখা ও তার কয়েকটা বান্ধুবি কলেজে
পেরাইভেট পাড়তেছে আমাকে দেখে
সবাই এক সঙ্গে উঠে আসলো স্যারও কিছু
বলছে না।
।
আমার তো প্যান্টে হিসু করার মতো
অবস্থা............
--------চলবে---------
বিদ্র: ভুল হলে মাফ করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
0 মন্তব্যসমূহ